খুবির উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ সব প্রভোস্টের পদত্যাগ
২০ আগস্ট ২০২৪ ১৫:২৯
খুলনা: পদত্যাগ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর প্রেরিত পদত্যাগপত্রে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেন। এর আগে দুপুরে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। আরও পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি হলের প্রভোস্টরা।
এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন সিন্ডিকেটের দু’জন সদস্য, শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক। বিদায়ী রেজিস্ট্রার এসব পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এক বদলির আদেশে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. মঈনুল হোসেন, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামানসহ ১৩ কর্মকর্তাকে তাদের কর্মস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দফতরে বদলি করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এই পদত্যাগকে অনেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাত হিসেবে দেখছেন কর্মরত এবং সাবেক অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অনেকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের দাবি বা শ্লোগান, অবরুদ্ধ রাখা, কার্যালয়ে তালা বন্ধ রাখার মতো ঘটনা ঘটলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ব্যতিক্রম।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও তার কাজের পরিচ্ছন্নতা, সততা ও শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে সবাই অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলো। কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের চোখে তিনি ছিলেন ক্লিন ইমেজের। তাঁর সাথে উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারও ছিলেন ক্লিন ইমেজের। তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। বলা চলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশেই রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ উপাচার্যের পদত্যাগের খবরে বিশ্ববিদ্যালয় যেনো হতাশার ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ মে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এছাড়া প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর উপ-উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। ট্রেজারার হিসেবে প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট যোগ দিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এমও
খুবির উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় টপ নিউজ ট্রেজারার প্রভোস্টের পদত্যাগ