সায়দাবাদে ২ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা
১৪ আগস্ট ২০২৪ ১২:৪৯ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৬
ঢাকা: রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকায় মারধরের শিকার হয়ে সাইফ আরাফাত শরীফ (২০) ও সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে সেচ্ছাসেবক হিসেবে রাস্তায় কাজ করছিলেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্কাউট সদস্য সম্রাট শেখ জানান, ব্যাপক মারধরের শিকার তিন ছাত্রকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন মিলে যাত্রাবাড়ী থানায় দিয়ে যায়। থানায় তারা ছটফট করছিল। তখন জানা যায়, সায়দাবাদ এলাকায় কোনো হোটেলে তাদের শারীরিকভাবে এই নির্যাতন করা হয়েছে। আস্তে আস্তে তাদের অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার জানান, ইয়াসিন ১৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। গতকাল সকালে সে যাত্রাবাড়ী ধলপুর বউবাজারের বাসা থেকে বের হন। এরপর কয়েকবার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। এরপর বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখনও তিনি সুস্থ্য স্বাভাবিক আছেন বলে জানান মাকে। এরপর সকালে কেউ একজন তার মাকে ফোন করে জানান, তার ছেলের অবস্থা ভালো না, দ্রুত যাত্রাবাড়ী থানায় আসতে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় গিয়ে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি বলেন, থানা থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় আমার ছেলে কথা বলতে পারছিল। বলছিল, ওদের মিথ্যা অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। ওরা কোনো অপরাধ করেনি। এরপর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় ইয়াসিন।
ইয়াসিনের বাবার নাম সাখাওয়াত হোসেন। থাকেন ধলপুর বউ বাজার এলাকায়। কুতুবখালি এলাকার একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন। নিহত সাইফ আরাফাত ইয়াছিনের বন্ধু। সেও পড়াশুনা করতেন।
নিহত সাইফের মানিব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম পরিচয় জানা যায়। তার বাবার নাম কবির হোসেন ও মা মরিয়ম। বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার কদমিরচর গ্রামে। বর্তমানে যাত্রাবাড়ী টনি টাওয়ার এলাকায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ