১০ মাসে ইসরায়েলি হামলায় গাজার জনসংখ্যার ১.৮% নিহত
১২ আগস্ট ২০২৪ ১০:৫৫ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪ ১৪:০১
গত ১০ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার মোট জনগোষ্ঠীর ১ দশমিক ৮০ শতাংশ নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ৩৯ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশই বয়সে তরুণ।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস) রোববার (১১ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে।
পিসিবিএস এক বিবৃতিতে বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে হামলা জারি রেখেছে ইসরায়েল। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৯ হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এই সংখ্যা এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
ফিলিস্তিনের পরিসংখ্যান ব্যুরো আরও বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার যারা প্রাণ হারিয়েছেন, এর মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশই তরুণ। অর্থাৎ নিহতদের প্রতি চারজনে একজন তরুণ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চলছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি শিশু অপুষ্টি ও খাদ্যসংকটের মুখে রয়েছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১০ মাস ধরে চলমান এই সংঘাতে অন্তত ৩৯ হাজার ৭৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার জন। আর জাতিসংঘের তথ্য, চলমান এই সংঘাতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।
পিসিবিএসও বলছে, গাজায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। চলমান যুদ্ধে যারা আহত হয়েছেন, তাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, শনিবারও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভোরে ফজরের নামাজের সময় গাজার শহরতলী আল-দারাজের আল-তাবাইন স্কুলে এ হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
এদিকে দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশেরই বয়স ৩০ বছরের কম।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ১০ মাসের এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গোটা এলাকায় ঘরবাড়িসহ নানা ধরনের স্থাপনা ধ্বসে পড়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো ভেঙে পড়েছে, ওষুধপত্র হয়ে পড়েছে দুষ্প্রাপ্য। এ অবস্থায় গাজায় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সারাবাংলা/টিআর