দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
১০ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩৫ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪২
ঢাকা: দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের বিচারক সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ দেন তিনি। বঙ্গভবন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। পরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, একই দিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন- এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী আইন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্রগুলো প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।
সদ্যসাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগ দেন। তিনি ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
আর নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। দেশের বাইরেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার আগে ১৯৮৪ সালে জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত ইশতিয়াক আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। আর মা প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর বেলা ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম