পরিবর্তন আসবে সাইবার সিকিউরিটি আইনে
৯ আগস্ট ২০২৪ ২৩:২৪
ঢাকা: পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের আমলে তৈরি করা সাইবার সিকিউরিটি আইনে। কীভাবে পরিবর্তন আনলে এই আইনগুলো আর স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারবে না বা বিরোধী মত দমনে ব্যবহৃত হতে পারবে না সেটি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণের পরদিনই বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকার। অনানুষ্ঠানিক হলেও বৈঠকে সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টাই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু আইন আছে যেগুলোর আপনারাও (সাংবাদিকরা) ভুক্তভোগী। যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আইসিটি অ্যাক্ট এখন আবার সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। আইসিটি আর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হলেও ওগুলোর শাস্তি হিসেবে অনেকে জেলে আছেন, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। হয়রানিমূলক মামলার মধ্যে ওই মামলাগুলোও আনা হবে। এবং কীভাবে পরিবর্তন আনলে এই আইনগুলো আর স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারবে না বা বিরোধী মত দমনে ব্যবহৃত হতে পারবে না, সেটা নিয়েও পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করা হবে।’
শুধু সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টই নয়, বৈঠকে হয়রানিমূলক অন্যান্য মামলার ভবিষ্যত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অনেক হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে যারা আন্দোলন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এর আগেও অনেক হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। সেই হয়রানিমূলক মামলাগুলো কী করে বন্ধ করা যায় সেটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরএফ/এমও