বিজিএমইএর কমিটি ভেঙে দিতে স্মারকলিপি
৮ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৭
ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানাগুলোর মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ সদস্যদের একটি অংশ। এ দাবিতে বর্তমান পর্ষদকে তারা দীর্ঘ সময় চাপের মধ্যে রাখেন। এ নিয়ে বিজিএমইএতে বেশ হট্টগোল হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্স বর্তমান পর্ষদের ওপর অনাস্থা দিয়ে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় ওই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে সংগঠনটির নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরামের নেতা-কর্মীরাই মূলত স্মারকলিপি দেন। প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দেন গত মার্চে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরামের দলনেতা ফয়সাল সামাদ ও ওয়েগা নিটেক্সের চেয়ারম্যান মেসবাহ উদ্দিন আলী। ফয়সাল সামাদ নিজেই সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্মারকলিপিতে বিজিএমইএ সদস্যরা দাবি করেন, গত মার্চ মাসে ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচন আয়োজন করে ‘ভোট চুরি’র মাধ্যমে এস এম মান্নান বিজিএমইএর ‘ক্ষমতা দখল করেন’। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সদ্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ‘বাহিনী’ উত্তরা ও মিরপুরে দমন-পীড়নে অংশ নেয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে কয়েক শ প্রাণহানি হলেও পর্ষদ কিংবা সভাপতি শোক বার্তা দেননি। গত কয়েক সপ্তাহে বিজিএমইএর মূল দায়িত্ব ব্যবসা পরিচালনায় কার্যকর নির্দেশনা দিতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ‘ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন ও গণজোয়ারে’ বর্তমান সভাপতি ও পর্ষদের সদস্যরা বিপরীতমুখী ভূমিকা পালন করায় তারা দায়িত্ব পালনে নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে বিজিএমইএ নির্বাচনে মূলত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম— এই দুটি প্যানেলের নেতারাই বিজিএমইএর সভাপতি ও অন্যান্য পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। গত নির্বাচনে ফোরামের নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সুরমা গার্মেন্টেসের কর্ণধার ফয়সাল সামাদ। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন বিজিএমইএর আগের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সেহা ডিজাইন (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি।
সবশেষ ওই নির্বাচনে এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বাধীন পরিষদ নিরুঙ্কুশ জয় পায়। মান্নান বিজিএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ওই নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগও রয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর