Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২৯ | আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫২

ঢাকা: টানা ১৯ দিন পর খুলেছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অনেকদিন পরে স্কুল খুলেছে এ জন্য উপস্থিতি কম। দুই-এক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, যথা সময়ে স্কুল খুলেছে। শিক্ষকদের উপস্থিতি শতভাগ থাকলেও কোনো কোনো স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা একেবারেই কম।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শের- ই বাংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

বিদ্যালয়টির নবম শ্রেনির শিক্ষার্থী আলভিনা বলেন, তার বাসা স্কুলের পেছনে বলে এসেছেন।

তার মা আয়শা আক্তার বলেন, প্রায় মাস হতে যাচ্ছে বাচ্চারা স্কুলের বাইরে। ঘরে আর কত থাকা সম্ভব। স্কুলের কাছে বাসা বলে নিয়ে এসেছি দূরে হলে তো নিরাপত্তার একটা বিষয় ছিল।

রাজধানীর শের- ই বাংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভির আহমেদ বলেন, অনেক দিন পর স্কুল খুলেছে। চারদিকের পরিবেশও শান্ত হতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।

মতিঝিল আইডিয়ালেও শিক্ষার্থী সংখ্যা কম। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা এখনো নিরাপত্তা বোধ করছে না বলেই হয়তো উপস্থিতি কম।

মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনায়েতুর রহমান জানান, হঠাৎ করেই স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী বেশি দিনের ছুটি পেয়ে হয়তো ঢাকার বাইরে অবস্থান করছে। যে কারণে উপস্থিতি কম।

তবে এখনো বন্ধ দেখা গেছে, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। টিকাটুলিতে স্পার্কল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রীন বার্ড, লিটল জুয়েল, অক্সফোর্ডের মতো স্কুলগুলোও খোলা দেখা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখানে যারা পড়ে তারা খুবই ছোট, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুঝে শুনে নিতে হচ্ছে। পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলেই সব খুলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লং মার্চ কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। এর একদিন পার না হতেই সরকার প্রধান পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা খাকবে।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা এড়াতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। ওই দিন থেকেই দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ জুলাই থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

টপ নিউজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর