Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না— জানালেন জয়

সারাবাংলা ডেস্ক
৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩১ | আপডেট: ৫ আগস্ট ২০২৪ ২৩:২৪

সদ্যই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া প্রবল গণআন্দোলনে হতাশ হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।

সজীব ওয়াজেদ জয় সোমবার (৫ আগস্ট) বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ আওয়ার অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর দেড়টার দিকে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে তিনি ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতের পথে রওয়ানা দেন।

বিজ্ঞাপন

বিবিসিকে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমার মনে হয় তার (রাজনীতিতে যাত্রা) এখানেই শেষ। আমার পরিবার ও আমি, আমাদের যথেষ্ট হয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট বিক্ষোভ একপর্যায়ে রূপ নেয় শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে। জয় বলেন, “তার বয়স সত্তরের ঘরে (৭৭ বছর)। তার এত পরিশ্রমের পর একটি ছোট্ট অংশ তার বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ করল… তিনি এতে ‘খুবই হতাশ’ হয়েছেন।”

আরও পড়ুন- দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত ছেলে সজীব ওয়াজেদ ওয়াজেদ জয় তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জয় বলেন, গতকাল (রোববার) থেকেই পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন মা। শেষ পর্যন্ত পরিবারের অনুরোধে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি দেশত্যাগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের মেয়াদে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতির কথা জানিয়ে জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র ছিল। বাংলাদেশ একটি গরীব দেশ ছিল। অথচ এখন, এই আজকের দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ভীষণ নিরাশ হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ১৬ জুলাই আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ওই দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জন নিহত হন। ওই সময় এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিহত হন প্রায় দুই শ মানুষ।

আন্দোলনের ওই সময় পাঁচ দিন ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল দেশ। জারি করা হয় কারফিউ। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন এই আন্দোলন থামানো যায়নি। ধারাবাহিক এই আন্দোলন গত শনিবার (৩ আগস্ট) রূপ নেয় সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে।

এ দাবিতেই গতকাল রোববার (৪ আগস্ট) ছিল সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি। এ দিনও সারা দেশে প্রায় এক মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপর আজ সোমবার মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সব মিলিয়ে এ আন্দোলন ঘিরে তিন শতাধিক প্রাণহানির তথ্য এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

আন্দোলনকারীদের কঠোরভাবে দমনের অভিযোগ করা হয়েছে কি না— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘কেবল গতকালই ১৩ জন পুলিশকে তারা পিটিয়ে মেরেছে (সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায়)। উচ্ছৃঙ্খল মানুষ যখন কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তখন পুলিশের কাছে আপনি কী আশা করেন?’

সারাবাংলা/টিআর

শেখ হাসিনা সজীব ওয়াজেদ জয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর