সব পোশাক কারখানা বন্ধ
৪ আগস্ট ২০২৪ ২২:২৩ | আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪৪
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে বলেছে সংগঠনটি।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে বিজিএমইএ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাই-বোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিক ভাইবোনদের অনুরোধ করা হলো।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকার কয়েকটিসহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন একই দিন থেকে। পরে এ আন্দোলন দেশব্যাপী তীব্র হয়ে ওঠে।
এই আন্দোলন ঘিরে ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জন নিহত হলে আন্দোলনকারীরাও আরও উত্তাল হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন স্থানে টানা পুলিশ, ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ-সংঘাত হতে থাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরকারি হিসাবেই নিহত হন ১৫০ জন। সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ ও কারফিউ জারি করে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এসব ব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন থামানো যায়নি।
সবশেষ গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানায়। এ দাবিতে আজ রোববার ছিল সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি। সারা দেশেই দিনভর এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘাত হয়েছে। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭৫ জন।
সংঘাতময় এ পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। এ ছাড়া আগামী তিন দিন তথা সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংক, বীমা, শেয়ার বাজারের কার্যক্রমও এই তিন দিন বন্ধ থাকবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব আদালতের কার্যক্রম। এবার পোশাক কারখানাও পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর