Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ছেড়ে গেলেন শিক্ষার্থীরা

ইবি করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৩

ইবি: অবরোধের তিন ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ছেড়ে গেলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কোটাসংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে মহাসড়কটি অবরোধ করা হয়।

এসময় ‘কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘পুলিশ ছাড়া মাঠে নাম, ভুলিয়ে দেব বাপের নাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান তারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস ফটকে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের ভাইদের মেরে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হামলা করা হয়েছে। আমাদের ভাইদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। তাছাড়া আমাদের কোটা সংস্কারের যে দাবি তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা আরও বলেন, যারা ছাত্রদের রক্ত নিয়ে হলি খেলেছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস নাই। শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করুন। নিরাপত্তার নামে শিক্ষার্থীদের হামলা-মামলা দেবেন না। খুন করবেন না।

কুষ্টিয়ার এসএসপি খালেকুজ্জামান বলেন, আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। আমার ছেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তারাও আন্দোলন করছে। আমরা চাই না এটা সংঘর্ষের পর্যায়ে যাক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। আমরা তাদের নিরপত্তা দেওয়ার জন্যই এসেছি।

বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাতুল করিম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। তবে আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পেছন থেকে অনেকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মনে হয়েছে।

এদিকে বুধবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়ার একটি মেস থেকে আল-ফিলহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহরাব মজুমদার শিক্ষার্থীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৈলকূপা থানায় নেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধারে থানায় গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থী আটকের বিষয়ে রাতুল করিম বলেন, শৈলকূপা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে নয়। তবুও আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ইবি থানায় কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে কাউকে আটক করেনি। পরে শুনলাম শৈলকূপা থানায় নিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। এখনো সুযোগ পাইনি এটা নিয়ে কাজ করতে। আমি আন্দোলন নিয়েই আছি।

এদিন বিকেল সোয়া চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ফটকের কয়েক জায়গায় ‘ছাত্রলীগ মুক্ত ক্যাম্পাস’ ও ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সম্বলিত কাগজ সাঁটিয়ে দেন। এছাড়াও ক্যাম্পাস ফটকে থাকা এক ছাত্রলীগ নেতার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে আগুন লাগিয়ে দেন।

সারাবাংলা/এনইউ

ইবি টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর