সবুজ ও শাহজাহানের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
১৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:০১ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:০৮
ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও ঢাকা কলেজ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর মরদেহ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত দুজনের মধ্যে সবুজ আলী ছাত্রলীগ ঢাকা কলেজ শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আরেক নিহত শাহ জাহান ছিলেন পেশায় হকার।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা।
এর আগে, নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দিন মুন্সী নিহত শাহজাহানের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, শাহজাহানের ডান চোখের নিচে ছিদ্র, মাথার পেছনে ফোলা এবং নাকে জখম রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিহত হকারের মায়ের আহাজারি— আমার ছেলের দোষ কোথায়
প্রাথমিক তদন্তের জায়গায় তিনি উল্লেখ করেন, বিকেল পৌনে ৬টার দিকে নিউমার্কেট থানাধীন অর্কিড প্লাজার সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী অজ্ঞাত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে এসে শাহজাহানকে সামনে পেয়ে তাকে ছাত্রলীগ ভেবে এলোপাতারি আঘাত করে। এ সময় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া, নিহত সবুজের সুরতহাল প্রতিবেদনে এসআই মো. মাহবুব আলী উল্লেখ করেন, সবুজের মাথার পেছনে থেতলানো, নাকে ও কানে রক্তমাখা। ডান হাতের কব্জিতে কাটা যখম রয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত তিনি উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে দিতে এসে ঢাকা কলেজের সামনে রাস্তায় সবুজকে মারধর করে এতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে শাহজাহানের মরদেহ সনাক্ত করেন তার মা আয়শা বেগম। বুধবার দুপুরে মর্গে তিনি জানান, ছেলের মরদেহ প্রথমে কামরাঙ্গীরচরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। ছেলের মৃত্যুর জন্য কোনো মামলা করতে রাজি নন তিনি। চান না বিচারও।
এদিকে নিহত সবুজেরর মরদেহ বুঝে নেন তার বড় ভাই মো. নুরনবী। তিনি জানান, সবুজের মরদেহ প্রথমে গুলিস্তান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নীলফামারী নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ
টপ নিউজ ময়নাতদন্ত মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর মরদেহ হস্তান্তর