লালমনিরহাটে কমছে পানি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
৯ জুলাই ২০২৪ ২৩:০২ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৯:৫৫
লালমনিরহাট: জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো ভোগান্তি কমেনি নিম্নাঞ্চলে। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক ও কৃষকের ধান, পাট, বীজতলা ও বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার(৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর পানি লোকালয় থেকে নামতে শুরু করেছে। তবে ভোগান্তি রয়েছে প্লাবিত এলাকাগুলোতে। নদীর নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে ক্ষতি হয়েছে নানাজাতের ফসলের ক্ষেত ও গ্রামীণ সড়কগুলোর।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাসিন্দা আজগর আলী (৪০) বলেন, ‘গত চার দিন তিস্তার পানি লোকালয়ে ছিল। আজ সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। নদীর চরে ধান চাষের জন্য বীজতলা করেছিলাম। টানা কয়েকদিন পানির নিচে থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
একই ইউনিয়নের স্পার বাঁধ এলাকার জাহাঙ্গীর ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘গতরাতে বৃষ্টি হলেও নদীর পানি কমে যাচ্ছে। এজন্য নিম্নাঞ্চল থেকেও পানি কমতে শুরু করেছে। তবে রাস্তাঘাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’
সদর উপজেলার পাকার মাথার বাসিন্দা মজিবর (৬০) বলেন, ‘নদীর পানি এখন পর্যন্ত ৭/৮ বার বাড়ল-কমলো। গত তিন দিন একটু বেশি ছিল। আজ কমতে শুরু করেছে। হুট করে পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ধান আর বাদামের খুব ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া চরের জমিতে চাষ করা অনেকের পাট ভেসে গেছে। আবার পানি কমা শুরুর পর নদীর ভাঙনও শুরু হয়েছে।’
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘তিস্তার পানি চর ও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছিল। এতে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, ‘গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। তবে আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু করায় কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/পিটিএম