চীন সফর: সকালে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
৮ জুলাই ২০২৪ ০১:১৮ | আপডেট: ৮ জুলাই ২০২৪ ০১:২৯
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে হবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই সফর দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশের চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়) ফ্লাইটটির বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে অবস্থানকালে ১০ জুলাই চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। চার দিনের এই দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কেও ‘ইস্যু’ ভারত, কূটনৈতিক ভারসাম্যের তাগিদ
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ওই সময় দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত হয়। অন্যদিকে দুই দেশ আগামী বছর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। এর মধ্যেই ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নীত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যা থাকছে
চীন সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সে দিন বিকেলে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী ও কনসালটেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট ওয়াংয়ের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেবেন। সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউজে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সফরের তৃতীয় দিন ১০ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার (প্রধানমন্ত্রী) লি ছিয়াংয়ের নেতৃত্বে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এ সময় সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) বেশ কিছু নথিতে সই হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে চীনা সরকারপ্রধান আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। পরে বিকেলে একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বাসস
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর শেখ হাসিনা