একটি দেশ কয়বার বিক্রি করা যায়— বিএনপিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৭ | আপডেট: ৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: একটি দেশ কয়বার বিক্রি করা যায়— বিএনপির কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৬ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রীতি সম্মিলনে মন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, সেই নীতিটাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে, সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এবার চীন সফরে যাচ্ছেন। এখন আবার হয়তো তারা বলবে আমরা দেশটা চীনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। যে দেশেই যাই, তারা বলে সেখানে আমাদের দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন, একটি দেশ কয়বার বিক্রি করা যায় ?’
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই পররাষ্ট্র নীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যেমন আমাদের খুবই চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। রাশিয়ার সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে ছিল, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি। যারা পাশে ছিল না, তাদের সঙ্গেও আমাদের সু-সম্পর্ক। আমাদের উন্নয়নে তারা অবদান রাখছে। এটিই আমাদের পররাষ্ট্র নীতির সফলতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নোয়ায় না। খেপাটে মেজাজের রিজভী সাহেব কী বললেন, ঢুলু ঢুলু মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বললেন, শিক্ষিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অশিক্ষিতের মতো কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর তথ্যমন্ত্রী ছিলাম। সাত বছর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজ’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান মহাসচিব দীপ আজাদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম