রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
৬ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৩
রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ (৬ জুলাই)। দিনটি উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন দুই উপ-উপাচার্য। এ ছাড়াও প্রতিটি হলের প্রাধ্যক্ষ নিজ নিজ হলের পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এবং সবশেষে বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্তবুদ্ধি চিন্তার জায়গা এবং চিন্তা-চেতনার কেন্দ্র। জ্ঞান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য। আমাদের টারশিয়ারি লেভেলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন ছিল । এখানে প্রথিতযশা শিক্ষকরা ছিলেন গুণী শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তাদের সবার সমন্বিত প্রয়াসে আমরা ৭১ বছর অতিক্রম করেছি। আমরা চাই এখানে জ্ঞানের একটি বৈপ্লবিক প্রবাহ ঘটুক। যে প্রবাহে থাকবে জ্ঞান সৃষ্টি।’
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের অর্থ ও শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের প্রতি আমরা সম্মান জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠাকালে তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, উন্নত শিক্ষা ও গবেষণামুখী এবং সংস্কৃতিবান্ধব একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের; আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হোক। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক এবং তারা দেশ ও বিশ্ব গড়ার কাজে নিয়োজিত হোক।’
অনুষ্ঠানে উপ–উপাচার্য হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পজিশন বিবেচনায় আমরা আগের চেয়ে অনেকটাই এগিয়েছি। আমি আশা করব, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আগামী ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা আরও উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দের সঙ্গে সেই আয়োজন করতে পারব। এ জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে যে ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশন সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছেঅ। এর একটি পূর্ব কর্মসূচি হিসেবে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশন সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সারাবাংলা/পিটিএম