অতিরিক্ত শুল্ককর, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ১০টি ট্রাক
২৯ জুন ২০২৪ ১৮:৩৯
বেনাপোল (যশোর): মাছ, ফল ও সবজিসহ ১০টি ট্রাক পচনশীল পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে বেনাপোল বন্দর এলাকায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের জারি করা নতুন আদেশ না মেনে বেনাপোল কাস্টম হাউস তার নিজস্ব আইনে অতিরিক্ত শুল্ককর আদায়সহ জরিমানা করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঁচামাল আমদানিকারকরা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।
পচনশীল পণ্যের আমদানিকারকরা জানান, রাজস্ব বোর্ডের জারি করা নতুন আইনে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী ট্যাক্স দিতে হবে। এই আইনটি করা হয়েছে হিমায়িত মাছের উপরে ৬ চাকা গাড়িতে পণ্য আনতে হবে ১৫ টন। রাজস্ব বোর্ডের এই নিদের্শনা বাস্তাবায়ন করা কখনো সম্ভব না, কারণ একটি গাড়ি ১৫ টন পণ্যের ওজনসহ গ্রস ওজন ২২ টন।
রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত হিমায়িত মাছের স্লাভ হলো ৬ চাকা ১৫ টন, ১০ চাকা ১৮ টন, ১৪ চাকা ২১ টন,১৬ চাকা ২২ টন ১৮ চাকা ২৩ টন ২০ চাকা ২৪ টন, ২২ চাকা ২৫ টন; কাঁচা ফলের ক্ষেত্রে ৬ চাকা ১৮ টন, ১০ চাকা ২০ টন, ১৪ চাকা ২৫ টন এবং ১৬ চাকার ২৬ মেট্রিক টন পণ্য ধরে শুল্কায়ন করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ন কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘গত ২৬ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পচনশীল পন্য শুল্কায়নের জন্য আমরা একটি নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনায় ট্রাকের চাকাভিত্তিক ওজনের কথা বলা আছে। সে নির্দেশনায় তখন থেকেই আমরা এটি বাস্তবায়ন করছি। অর্থাৎ ফল বা মাছের যে গাড়িগুলি আসবে সেখানে যে চাকার কথা বলা আছে কত চাকায় কত টন ফল বা মাছ আসবে সে অনুযায়ী পণ্য খালাস দেওয়ার নির্দেশনা আছে। সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি। এ নির্দেশনার বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই।’
সারাবাংলা/এমও