‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’র পক্ষে কোরআনের আয়াত টানলেন ঢাবি অধ্যাপক
২৭ জুন ২০২৪ ১৮:০৮ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ২২:১৪
ঢাকা: সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা বোঝাতে পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালের একটি আয়াতকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এই আয়াত উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় অধ্যাপক জামাল ২০১৮ সালে সংগঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়দের ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির’র কর্মী বলেও আখ্যা দেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে অধ্যাপক জামাল বলেন, “পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৫ ভাগের ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ-এতিমদের জন্য।”
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর যে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছিল সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোকিছুই দেওয়া হয়নি। অথচ তারা ছিল বিজিত বাহিনী।’
অধ্যাপক আ ক ম জামাল দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ‘খোলস’ পরে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর ভেতরে প্রবেশ করেছে এবং তারাই কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির খোলস পরে প্রোগ্রেসিভ ছাত্রসংগঠনের ভেতরে লুকিয়ে আছে। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে যাতে তারা কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৫৯ কোটি ১৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম