সেমিতে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে গেল আফগানিস্তান
২৭ জুন ২০২৪ ০৭:৩৪ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ০৭:৪৮
ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ঐতিহাসিক ম্যাচের শুরুটা একদমই ভালো হলো না আফগানিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারদেরর দুর্দান্ত বোলিংয়ে দাঁড়াতেই পারেনি আফগান ব্যাটিং লাইনআপ। ত্রিনিদাদে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছেন রশিদ খানরা। টি-২০ ক্রিকেটে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবার সেমিতে কোন দল ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ খান। সেই সিদ্ধান্ত যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তাদের জন্য, সেটা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি আফগানরা। প্রথম ওভারেই আঘান হানেন মার্কো ইয়ানসেন। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত আফগান ওপেনিং জুটি আজ করতে পেরেছে মাত্র ৪! শূন্য রানে গুরবাজকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন ইয়ানসেন।
এরপর আফগানদের টপ অর্ডার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। পাওয়ারপ্লের মাঝেই টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন রাবাদা-নরকিয়া। আফগান ব্যাটাররা যেন খেলতেই পারছিলেন না প্রোটিয়া পেসারদের বল। প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছে তারা। মাত্র ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল আফগানিস্তান।
সেখান থেকে দলকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পুরো লাইনআপে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দুই অংক ছুঁয়েছেন তিনি। তার ১০ রানের ইনিংসই তাই ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ। ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। ওমরজাই-জানাতের ২২ রানের জুটি ভাঙ্গেন তাবারিজ শামসি। শামসি ১১ বলের মাঝে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা গুড়িয়ে দেন।
রশিদ খানও আজ লড়াইয়ের আভাস দিয়েও কিছু করতে পারেননি। তাকে ৮ রানে ফিরিয়ে আফগানদের শেষ আশাটাও শেষ করেন নরকিয়া।
শেষ পর্যন্ত ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শামসি ও ইয়ানসেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা ও নরকিয়া।
সারাবাংলা/এফএম