‘তারেক জিয়াকে প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করতে চেষ্টা চলছে’
২৬ জুন ২০২৪ ২০:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ২২:২০
সংসদ ভবন থেকে: গ্রেনেড হামলা, মানিলণ্ডারিংসহ দুর্নীতির একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে (তারেক জিয়া) প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করতে সবধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে। যুক্তরাজ্য থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা আছে। ওইসব জটিলতা আইনি প্রক্রিয়ায় নিরসন করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ উদ্দেশ্যে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা ও আইনি কার্যক্রম একসঙ্গে চলছে। যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো কাজ করছে। দ্রুতই ফলাফল পাওয়া যাবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামিদের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শান্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ পলাতক আসামি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব.) নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ও লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামি মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিরা যে দেশে অবস্থান করছে, সে দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের যেকোনো পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার ইস্যুটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যেসব পলাতক খুনিদের অবস্থান সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের অবস্থান খুঁজে বের করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম