সোয়া ৬ কোটি টাকার গরমিল, ইবির ৮ প্রকৌশলীকে দুদকে তলব
২৬ জুন ২০২৪ ১৮:৪০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ২২:২১
ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের ছয় কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল গরমিলের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
তবে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ছুটি চলাকালীন আসায় যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেননি কর্মকর্তারা। ফলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রেজিস্ট্রার দফতর থেকে দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুদকের দেওয়া চিঠিতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ছয় কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
যে আট প্রকৌশলীকে ডাকা হয়েছে তারা হলেন-ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা. নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুলকে ১ জুলাই ও বাকীদের ৩০ জুন ডাকা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, দুদক প্রকৌশলীদের বক্তব্য শুনতে ডেকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চিঠি পড়ে ছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সাক্ষাতের নতুন সময় জানিয়েছি।
গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বেনামী চিঠি আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও দুদকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। সেই প্রতিবেদন গত ১৯ মে ২৬৩ তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হয়। তবে সেখানে শাস্তি নির্ধারণের পদ্ধতি ও বিধি উল্লেখ না করে শাস্তি নির্ধারণে পরবর্তীতে আবারো তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয় সিন্ডিকেট থেকেই। সেই কমিটিকে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তারা এখনো প্রতিবেদন দেয়নি।
সারাবাংলা/এনইউ