দেশও বেচি না, দেশের স্বার্থও বেচি না: শেখ হাসিনা
২৫ জুন ২০২৪ ১২:৫৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১৭:১৫
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কারো সাথে জেলাসি করে না। শেখ হাসিনা ফাদার অব দ্যা নেশনের মেয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। অন্তত এই জায়গাটায় কেউ আসতে পারবে না। আর সেটাই আমার গর্ব। আমি দেশও বেচি না, দেশের স্বার্থও বেচি না। সবসময় দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই চলি। তার জন্য অনেকবার ক্ষমতায় আসতেও পারিনি। আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আমার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের মানুষের মাথা যেন উঁচু থাকে; আমার সবসময় সেটাই কাজ।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গণভবনে ভারতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথমে ভারত সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরার পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব থেকে বেশি যে করে তার বিরুদ্ধে ওনি এখন গীবত গেয়ে বেড়াচ্ছেন? ওনাকে জেলাসি করার কি আছে? সে আসুক না মাঠে আসুক? চলুক আমার সাথে? আমেরিকায় ডিবেট হয় না? চলুক আসুক; কথা বলব? সব থেকে বেশি আর্থিক সুবিধা পেয়েছে আমার হাত থেকে। ওয়াশিংটনে তার মাইক্রোক্রেডিটে কেউ অংশগ্রহণ করে না। আমি গিয়েছি সেখানে, হিলারি ক্লিনটন এসেছে, কুইন্স সোফিয়া এসেছে। আমরা তাকে খুবই প্রমোট করেছি। এটা ঠিক। তার কথাটা হচ্ছে উপকারীকে বাঘে খাক, যাতে উপকারটা স্বীকার করতে না হয়; এটাই তো বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যা হোক এখন ওনার (ড. ইউনূস) পয়সা আছে। ওনি লেখাচ্ছেন। এই যে কতজন নোবেল লরিয়েটসহ তাদের যে বিবৃতিটা; এই বিবৃতিটা কি বিবৃতি? এটা তো বিজ্ঞাপন। ওনি যদি এতোই পপুলার হবেন তার বিজ্ঞাপন দিয়ে এতোজনের নাম দিতে হবে কেন? তার জন্য সারা পৃথিবী ঝাঁপিয়ে পড়বে। কেউ তো এসে আমাকে বলল না, একজনও না। কেউ তো বলল না? কথাটা একটু চিন্তা করে দেখেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন মামলায় যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে এতো কথা লেখে কিভাবে? ওই সাংবাদিককে জিজ্ঞেস করেন? সে যে কনভিকটেড এবং সেটাও লেবার কোর্টে। সরকারের কোর্ট না, লেবার কোর্টে। আইএলও কনভেনশন এবং প্রটোকলে আমরা সিগনেচার করেছি। আমার লেবারের স্বার্থ রক্ষা করতে বাধ্য। এখানে আমাদের কিছু করার নাই।’
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে দিল্লি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের সফর শেষে গত শনিবার (২২ জুন) রাতে দেশে ফেরেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এছাড়াও এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমও