‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত মতিউরকে সোনালী ব্যাংক থেকেও অব্যাহতি
২৪ জুন ২০২৪ ১৮:৫৮ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ২১:০৫
ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যপদ থেকে অব্যাহতির পর ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত মতিউর রহমানকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক নির্দেশনায় তাকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মো. মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদ থেকে অপসারণের সুপারিশসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- সোনালী ব্যাংক থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মতিউরকে
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ জুন) এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে অপসারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়। রোববারই জানা যায়, তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হবে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রোববার অনুষ্ঠিত সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মতিউর। সভা শেষে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী পর্ষদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো পরিচালক নিয়োগ, স্থগিত বা বাতিল করার এখতিয়ার সরকারের। সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা এসেছে, মতিউর রহমান আর আমাদের বোর্ডে উপস্থিত হবেন না, সভায় আসবেন না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাংকের সব পরিচালককে জানিয়ে দিয়েছি। এর পরদিনই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে অপসারণের আদেশ এলো।
মতিউর রহমান ১১তম বিসিএসে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরে এই ক্যাডারের সাত কর্মকর্তাকে কাস্টমস ক্যাডারে একীভূত করা হয়। মতিউর রহমান তাদের একজন। এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের পাশাপাশি ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে রয়েছেন তিনি।
মতিউর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ইফাত সদ্যগত ঈদুল আজহায় সাদিক এগ্রো এবং ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু-ছাগল কিনে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে সাদেক এগ্রোর ১২ লাখ টাকার একটি ছাগলও ছিল। সমালোচনার মুখে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া ছাগলটি আর নেওয়া হয়নি তার। গত বছরও তিনি ৬০ লাখ টাকার পশু কিনেছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে ‘ছাগলকাণ্ড’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে মতিউর রহমান বলেন, ‘ইফাত তার ছেলে নয়। ইফাত নামে কাউকে তিনি চেনেন না।’ তবে একাধিক নিকটাত্মীয় ও জনপ্রতিনিধি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারের প্রথম সন্তান।
আরও পড়ুন-
ছাগলকাণ্ডের মতিউরের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু
‘ছাগলকাণ্ড’র মতিউর রহমান সোনালী ব্যাংকেরও পরিচালক
এনবিআর সদস্য পদ থেকে ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত মতিউরকে অপসারণ
সারাবাংলা/জিএস/টিআর