‘এখন সাধারণ মানুষ যদি ইউনাইটেড হাসপাতালের ইট খুলে নিয়ে যায়’
২৪ জুন ২০২৪ ১৬:৫৭ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ১৯:১৩
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের ভয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহযোগিতা না করে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। এখন এদেশের সাধারণ মানুষ যদি এই হাসপাতালের ইট খুলে নিয়ে যায়, তাহলে তাদের (ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) করার কিছু থাকবে না।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত এক দোয়া-মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করে।
একই স্থানে মহিলা দলের দোয়া-মাহফিলে রিজভী বলেন, ‘যে নেত্রী পায়ে হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেত্রী বের হলেন হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগা আক্রান্ত হচ্ছেন। একের পর এক অসুস্থতায় তিনি ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে তাকে অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই বেগমখালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়, আইনমন্ত্রী সাথে সাথে বলে দেন এটা হবে না। অনেকেই বলে আইনমন্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে কোনো করুণা, সহানুভূতি, মানবিকতা নেই।’
ভারতের সঙ্গে সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এই চুক্তি সার্বোভৌমত্ব বিক্রি করে দেওয়ার চুক্তি। নিজের স্বার্থ ছাড়া এক দানা চালও দেবে না ভারত। শহিদের রক্ত ডিঙ্গিয়ে কোরিডোর দিতে চাননি বলেই বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হয় না।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ইস্যুতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিবৃতি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের মহাপরিকল্পনার অংশ পুলিশ, তাই সরকার লুটপাটের সুযোগ দেবে না কেন? দেশে যেই অপরাধ করুক তার বিচার হওয়া উচিত। পাচারকারী, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলছে সরকার। অন্যায়-অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিবৃতি দিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।’
রিজভী বলেন, ‘সত্যের প্রতিধ্বনি হলে পুলিশের গায়ে লাগে। চাকরির নামে দোসর হয়ে হাজার কোটি টাকা লুট করে পাচার করছে পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চায়।’
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ