১৫ বছরে বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৪ হাজার নারীকর্মী
২৩ জুন ২০২৪ ২১:০৪ | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ২৩:১৮
সংসদ ভবন থেকে: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (১১ জুন ২০২৪) ১১ লাখ ১৪ হাজার ৩১২ জন নারীকর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন।
রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।
সরকারি দলের সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদেশে কর্মী পাঠানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার অধিক হারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। বেসরকারি খাতকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরার অংশ হিসেবে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে। এজেন্সিগুলো জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি’র) বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ ও বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।
শ্রমিক পরিবারের নিরাপত্তায় ১২ বছরে ১৪২ কোটি টাকা সহায়তা
শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেউ কর্ম অক্ষম হলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তায় গত ১২ বছরে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৫ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী মো নজরুল ইসলাম।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব সেক্টরের শ্রমিকের কল্যাণ ও সুরক্ষা দেওয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার পরিযায়ী শ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে বা কোনো শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেউ কর্ম অক্ষম হলে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
রেমালে ক্ষতি ৭৪৮২ কোটি টাকার
সরকারি দলের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সারাদেশে টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
একই দলের মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে মৃত্যের সংখ্যা ২০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৭ জন। দুর্যোগ মোকাবিলায় নগদ ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিন টন চাল, ১১ হাজার ৫০০ ব্যাগ শুকনো খাবার, দুই কোটি ৪৫ হাজার টকার শিশু খাদ্য, দুই কেটি ৪৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য, ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহমঞ্জুরী বাবদ ৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম