চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা
২৩ জুন ২০২৪ ১৫:৩০ | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১৬:৩৩
ঢাকা: গত ১৮ জুন ঈদের ছুটি শেষ হলেও এতোদিন রাজধানী ঢাকার পথঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। কিন্তু দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধের পর রোববার (২৩ জুন) অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় সকাল থেকে প্রায় সকল সড়কেই গাড়ির জট দেখা গেছে। তবে সে জট বেশি স্থায়ী হয়নি। যে সকল রাস্তা নানা কারণে কাটা হয়েছে কেবল সেসব সড়কে কিছু সময় জ্যামে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, স্কুল খুলে গেলে জ্যাম আরও তীব্র হতে পারে। এদিকে সড়কে এখনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি।
ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সকাল থেকে রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি সড়ক, কাঁকরাইল, মালিবাগ- মৌচাক, রামপুরা বাড্ডা হয়ে বিশ্বরোড এবং শাহাবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বনানী, গুলশান- উত্তরা সড়কেও প্রচুর গাড়ির চাপ।
জানা গেছে, সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত উভয় পর্যায়ের গাড়ির চাপ দেখা গেছে সড়কে। সকাল ৯টা থেকে গাড়ির চাপ শুরু হয়ে অফিস সময় পর্যন্ত থাকলেও দুপুরের দিকে প্রায় সকল সড়কই ফাঁকা দেখা গেছে।
মতিঝিলে নিউভিশন বাসের চালক মনিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এতদিনের ফাঁকা সড়কে গাড়ি চালানোর শান্তি শেষ। আজ থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আবার জ্যামও বেড়েছে।
বাহন বাসের চালক সজল বলেন, স্কুল না খুলতেই জ্যাম, স্কুল-কলেজ খুলে গেলে আবার আগের মতো হয়ে যাবে। আমরা তো অভ্যস্ত।
গুলিস্তানে ডিউটিরত ট্রাফিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, সকালে কিছুটা গাড়ির চাপ ছিল। দুপুরে মানে এখনো কম। এর কারণ স্কুল এখনো বন্ধ। ২৫ তারিখের দিকে হয়তো গাড়ির সংখ্যা বাড়বে সড়কে। কারণ মঙ্গলবার থেকে স্কুল খুলবে।
এদিকে ঈদের ছুটি পাঁচদিন আগে শেষ হলেও আজও ঢাকা ফিরছে মানুষ। ট্রেন, লঞ্চ, বাস সব স্টেশনেই ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে সড়কে গাড়ির তীব্র চাপ না থাকায় অনেকে স্বস্তিতেই যাতায়াত করতে পারছেন। যশোর থেকে ট্রেনে আসা যাত্রী মাহমুদা খানম সারাবাংলাকে বলেন, তার স্বামী বুধবার সকালে ফিরেছেন। তিনি বাচ্চাদের নিয়ে আজ ফিরলেন। কিন্তু ঢাকাতে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে বাস পাওয়া মুশকিল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়। এবার ঈদের তিনদিন ছুটি ছাড়াও দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট পাঁচদিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন কর্মজীবীরা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ