ইরানে মৃত্যুদণ্ড ও নারীবিরোধী অভিযানে জাতিসংঘের নিন্দা
২২ জুন ২০২৪ ১২:০৭ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১২:২৪
জাতিসংঘ ইরানে গত বছর বিপুল সংখ্যক লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং দেশের হিজাব আইন লংঘন করায় নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে যে সহিংস অভিযান চালানো হয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিন্দা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের ডেপুটি হাই কমিশনার নাদা আল নাশিফ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সামনে প্রতিবেদনটি পেশ করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৮৩৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই সংখ্যা পুর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে মাদক বিষয়ক অপরাধের জন্য ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ড ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা গত প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বেসরকারি সংগঠন ইরান হিউমান রাইটস বলছে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে গত বছর ৪৭১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা যায়। তিনি বলেন, এ বছরও মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ পর্যন্ত ২০২৪ সালে ১০জন নারীসহ অন্তত ২৪৩ জনের প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আল-নাশিফ পরিষদকে জানান, এই মৃত্যুদণ্ডে সংখ্যালঘুরা অনানুপাতিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সব মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ হচ্ছে সংখ্যালঘু বালুচরা।
তিনি বলেন, লক্ষ্য করা গেছে ২০২৪ সাল থেকে শিশুদের মৃত্যুদণ্ড সামগ্রিকভাবে কমে এসেছে। এই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দুইজন শিশু অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সরকারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের উপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী প্রতিবাদের কারণে গত বছর দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার ফলে মোট মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ এ।
এ ছাড়া, নির্যাতন চালিয়ে অপরাধ স্বীকার করানোর প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে বন্দী থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছিল। হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সারাবাংলা/ইআ