মিয়ানমার থেকে নৌযানে গুলি: সেন্টমার্টিনে খাদ্যপণ্য যাচ্ছে জাহাজে
১৪ জুন ২০২৪ ১৬:৪৭ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ২৩:০৫
কক্সবাজার: নাফনদীতে সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে মিয়ানমারে থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্টমার্টিনে খাদ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খাদ্যপণ্য নিয়ে কক্সবাজার শহর থেকে যাত্রা দিয়েছে এমভি বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ।
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি যাত্রা দেয়। জাহাজে ২০০ মেট্টিক টন চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। একইসঙ্গে জাহাজে করে ঘরে ফিরছেন নানা প্রয়োজনে কক্সবাজারে আসা সেন্টমার্টিনের দেড় শতাধিক বাসিন্দা।
এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত ও সেন্টমার্টিন রুটে নৌ যানের উপর মিয়ানমার থেকে তিন দফায় গুলি চালানোর ঘটনায় ওই রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়। যার কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দেয়। বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনের যাতায়তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকূল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার খাদ্যপণ্য নিয়ে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজ রওয়ানা হয়েছে। জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী একমাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবেন বলেও জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, এই জাহাজটি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পর্যটন মৌসুম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে যাতায়ত করছিল। এখন দ্বীপবাসীর প্রয়োজনে জাহাজটি পাঠানো হলো। এটি আগামীকাল শনিবার দ্বীপ থেকে কক্সবাজারে ফিরবে। দ্বীপের কোন মানুষ জরুরি প্রয়োজনে কক্সবাজার এলে ওইদিন আসতে পারবেন। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নয়, প্রশাসনের আহ্বান ও দ্বীপের বাসিন্দাদের প্রয়োজনে এটির যাত্রা।
এদিকে, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়তকারী নৌযান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের কারণে ৭ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ট্রলার চলাচল। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সাগর উপকূলের পয়েন্ট দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ৩টি ট্রলার যোগে ৩ শতাধিক মানুষ টেকনাফ আসেন। একইসঙ্গে ৩ শতাধিক মানুষ দ্বীপে গেছেন।
সারাবাংলা/এমও