‘জোগান বেশি আছে, পশুর দাম বাড়ালে কিন্তু মাথায় হাত পড়বে’
১৩ জুন ২০২৪ ১৪:২০ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৪:৫৮
ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, প্রয়োজনের চেয়ে পশুর জোগান বেশি আছে। সুতরাং ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে পশুর দাম বাড়ালে শেষ সময়ে ওই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়বে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ সব মিলিয়ে পশুর চাহিদা এক কোটি সাত লাখ। সেখানে প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।
বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতিকেজির দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি না। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।
মন্ত্রী বলেন, আজকে হয় তো কেউ নানাভাবে হ্যাল্ডেলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে ওই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরু তো আমার জোগান আছে। যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে বেশি দাম হাঁকাচ্ছে ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।
এক প্রশ্নে উত্তরে আব্দুর রহমান বলেন, দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সে ক্ষেত্রে বাজরই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে। আমি কিভাবে বাজার মূল্য নির্ধারণ করবো।
ডিমের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্য শস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করবো। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। প্রয়োজেন আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে তাদের একটা ডিমের জন্য কতো খরচ হয় এবং লাভ কতো করতে হয়, তারপর দাম নির্ধরণ করবো। এই ব্যাপারে নিশ্চয় আমাদের নজরদারি থাকবে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনইউ