Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গোপসাগরে কেএসআরএমের নতুন জাহাজ, পতাকা ওড়ার অপেক্ষা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ জুন ২০২৪ ২০:৪৬ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১০:৪২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সমুদ্রভিত্তিক পণ্য পরিবহনে আরও একটি বড় জাহাজের (মাদার ভ্যাসেল) মালিক হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের কেনা জাহাজটি এখন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ জাহাজটি কেনার মধ্য দিয়ে দেশের শততম জাহাজের মালিকানা পাওয়ার দৌড়ে কেএসআরএম গ্রুপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, এমভি নর্ড প্যাসিফিক নামে জাহাজটি পাঁচ বছর আগে পানামায় নিবন্ধন পেয়েছিল। কেএসআরএম গ্রুপ কিনে নেয়ার পর সেটির নামকরণ হচ্ছে এমভি জাহান-ওয়ান, যা এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। ৬১ হাজার ২২১ মেট্রিকটন পণ্য পরিবহনে সক্ষম জাহাজটি। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এস এস পাওয়ার লিমিটেডের ৫৯ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৬ মে ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পান্তাই বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গত ৭ জুন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে।

বিজ্ঞাপন

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের যে বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। কেএসআরএম গ্রুপের কাছে মালিকানা হস্তান্তরের পর এখন এমভি জাহান-ওয়ান নামে জাহাজটির নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।’

জানা গেছে, জাহাজটি কেনার পর ইতোমধ্যে এসআর শিপিং লিমিটেড স্থায়ী নিবন্ধনের জন্য নৌবাণিজ্য অধিদফতরে আবেদন করেছে। বুধবার (১২ জুন) নৌবাণিজ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জাহাজটি পরিদর্শন করেন। স্থায়ী নিবন্ধন পাবার পর লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে জাহাজটি চলবে সমুদ্রপথে।

বিজ্ঞাপন

নৌবাণিজ্য অধিদফতরের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের আরেকটি স্থায়ী জাহাজ হিসেবে রেজ্রিস্টেশনের জন্য এমভি জাহান-ওয়ান আবেদন করেছে। আমরা মালিকানা রেজিস্ট্রেশনের যে প্রক্রিয়া সেগুলো সম্পন্নের জন্য জাহাজে এসেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর জাহাজটি স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাবে এবং বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে সারাবিশ্বে চলতে পারবে। আরেকটি জাহাজ আমাদের বহরে যুক্ত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। কার্গো বহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।’

নতুন আরেকটিসহ কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় এখন জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫টিতে। জাহাজ ব্যবসায় কেএসআরএম’র প্রায় সমকক্ষ মেঘনা গ্রুপ। তাদের মালিকানায়ও আছে ২৫টি জাহাজ। এছাড়া আকিজ গ্রুপের ১০টি, এইচআর শিপিংয়ের ৮টি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৭টি, ভ্যানগার্ডের ৬টি, বসুন্ধরা গ্রুপের ৬টি জাহাজসহ সব মিলিয়ে মোট ১০০টি জাহাজ আছে।

নৌ বাণিজ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত ৫ বছরেই নতুন-পুরাতন ৭১টি জাহাজ কিনেছেন বাংলাদেশের শিপিং ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে ৯টি জাহাজ একেবারেই নতুন।

বাংলাদেশের মালিকানাধীন শততম জাহাজের নিবন্ধন পেতে বেশ কিছুদিন ধরে শিল্প গ্রুপগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে আসছিল। মেঘনা গ্রুপ ‘মেঘনা সেঞ্চুরী’ নামে, এস আর শিপিং ‘জাহান-ওয়ান’ নামে এবং ভ্যানগার্ড গ্রুপ ‘রয়েল আরাকান’ জাহাজ নামে আলাদাভাবে নিবন্ধনের আবেদন করে।

তবে এমভি জাহান-ওয়ান বাংলাদেশি সীমানায় নিয়ে আসার কারণে এ প্রতিযোগিতায় কেএসআরএম গ্রুপ অনেকটাই এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন নৌবাণিজ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

কেএসআরএম টপ নিউজ পণ্যবাহী জাহাজ মাদার ভ্যাসেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর