Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রকৌশলীর স্ত্রী’র ১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, এজাহার দায়ের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১১ জুন ২০২৪ ২৩:৩৫ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ১০:০৫

যশোর: জ্ঞাতআয়বর্হিভূত অর্থ অর্জনের অভিযোগে নড়াইল সদরের শোলপুরের কাজী বনানী রহমান ও তার স্বামী এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোরের দুর্নীতি দমন কার্যালয়ে মামলার এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক ঢাকার সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন এজাহার জমা দেন। দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এজাহার থেকে জানা যায়, ওই দু’জন ১৯৯৭ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তারা আয়বহির্ভূতভাবে এবং অবৈধভাবে এই সম্পদ অর্জন করেন। কাজী বনানী রহমান একজন গৃহীণি। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দুদক প্রধান কার্যালয়। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীর কাছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তালিকা চাওয়া হয়।

এক পর্যায়ে তালিকা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্যে তদন্তকর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেকে দায়িত্ব দেয় দুদক। তদন্ত শেষে হিসাব বর্হিভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ ভোগদখলের ও মালিকানার প্রমাণ পান ওই কর্মকর্তা। এর পর নড়াইলের সিনিয়র স্পেশাল জেলা জজ আদালতের অধিক্ষেত্রে অধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা যশোর কার্যালয়ে এজাহার দাখিল করেন তিনি।

এজাহারের সারমর্মে রয়েছে, কাজী বনানী রহমান একজন গৃহীণি ও স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। তার স্বামী কাজী মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকারের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে পিআরএল ভোগরত)। মূল অভিযুক্ত বনানী রহমান গৃহীণি হওয়ার পরও ২০২১ সালের দু’দকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে যে সম্পদের বিবরণ দেন তার বাইরে নিজ নামে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ৪১৫ টাকার সম্পদ ভোগ করছেন। এর মধ্যে ৫৯টি দলিলে প্রায় ২৮ একর জমি, দু’টি ভবন, একটি ফার্মসহ অনেক সম্পদ ও সম্পত্তির প্রমাণ পান দুদক তদন্ত কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

কাজী বনানী রহমান ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে দুদক কার্যালয়ে মাত্র ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৭ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন। এর বাইরে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অতিরিক্ত সম্পদের সন্ধান ও প্রমাণ পায় দুদক। তিনি তার হিসাব বিবরণীতে ১৪টি খাতে ১১ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার ৯৮২ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। এর মধ্যে ছিল বিনিয়োগ ও সঞ্চয় পত্রের সুদ বাবদ এক কোটি ৮৪ লাখ ১৯ হাজার ২১৫ টাকা।

এই সম্পদ ও স্থাবর ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ৪১৫ টাকাসহ মোট ১৯ কোটি ৮১ লাখ ৫ হাজার ১৮২ টাকা মূল্যের সম্পদ ভোগদখল করছেন কাজী বনানী রহমান। তিনি আয়কর দাতা; তাই তিনি আয়কর বিবরণীতে দাখিলকৃত বৈধ আয়ের হিসাব দেখিয়েছেন ২ কোটি ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৪ টাকা। ফলে বৈধ আয় ছাড়া অর্জিত ও মালিকানা থাকার অতিরিক্ত ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৮ টাকার সম্পদের জন্য দুদক এই মামলার এজাহার দায়ের করে।

তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দ-বিধি ১০৯ ধারায় এই নিয়মিত মামলা করার জন্যে দুদক প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করেন। সে মোতাবেক চলতি বছরের ২৮ মে দুদক প্রধান কার্যালয় অনুমোদন দেয়ে। এর পর ৪ জুন যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটির এজাহার দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/পিটিএম

এজাহার টপ নিউজ দুদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর