দুর্নীতি বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান সরকার দলীয় এমপিদের
১১ জুন ২০২৪ ২৩:১৭ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ০৯:৫৩
ঢাকা: দুর্নীতি বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। এ ছাড়া, তারা বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট গণমুখী, কল্যাণকর, বিনিয়োগ ও নারীবান্ধব। বাজেট বাস্তবায়নে দেশ আরও উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এদিন সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, নূর মোহম্মদ, হাবিবুন নাহার, নিলুফার আনজুম, মো. তৌহিদুজ্জামান, এসএম কামাল হোসেন, নাইমুন জামান ভূইয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাঈনুল হোসাইন নিখিল, আশরাফুন্নেসা, মাহবুবুর রহমান, মোস্তাফা আলম, নিলুফার অনজুম, এইচ এম ইব্রাহীম, নাদিয়া বিনতে আমিন এবং স্বতন্ত্র সদস্য হামিদুল হক খন্দকার।
সংসদ সদস্য নূর মোহম্মদ বলেন, ‘দেশে বর্তমানে শেয়ারবাজারের খারাপ অবস্থা, শুয়ে পড়েছে। এই খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখতে পারেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। অতীতেও এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো ইতিবাচক ফলাফল দেখিনি। এবার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকার কর ফাঁকিবাজদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারেন না। বৈধ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হচ্ছে। এটা শুধু বৈষম্যমূলকই নয়, অনৈতিকও।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দল ও সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি শব্দটি এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সব ব্যক্তির নাম আসছে, যা সামগ্রিকভাবে আমাদের জন্য বিব্রতকর। বাংলাদেশের কিছু লোক দ্রুত ধনী হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির করে কিছু রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থের মালিক হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যেকোনো মূল্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করতে চাই।’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, ‘যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা দিচ্ছে না, বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, তাদের তালিকা করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা ট্যাক্স দেয় না, তাদের ট্যাক্সের আওতায় এনে বাজেট বাস্তবায়ন করা দরকার।’
সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে বিরাট ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে।’ এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তারা সমালোচনা করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছে। আর আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।’
সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘এবারের বাজেট দেশের আরও উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলে পদ্মা সেতু হয়েছে, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল হয়েছে। আর বিশ্বের সেই শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ যাকে রাখে, তাকে মারে কে?’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম