Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মৌলিক সমঝোতা প্রয়োজন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২৪ ২১:০৯ | আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ ০১:৩৪

ঢাকা : নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনো রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলতে পারে। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কতিপয় মৌলিক সমঝোতা প্রয়োজন।

সোমবার (১০ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)’ আয়োজিত ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব শফিউল আজিম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

বিজ্ঞাপন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।’

বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগ করে। যারা প্রার্থী তাদের দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে না থাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হয়নি। তবে এখানে আমাদের করার কিছুই ছিল না।’

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট নিয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকেই সংলাপের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী দলকে অভিন্দন জানানোর মাধ্যমে একটি সুস্থ নির্বাচনি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আর যারা নির্বাচিত হবেন তারা সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে গেলে সংস্কৃতিতে বড়ধরনের পরিবর্তন হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আজিজ সাহেবের দুই ভাই এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের পরিবার ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি করেছে বলে জেনেছি। ২০-২৫ বছর পর হঠাৎ জানা গেল। এ নিয়ে দুটো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘এনআইডির একটা প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে। এ প্রযুক্তির ফাঁক ফোকর থাকতে পারে। ৯৯.৯৯ শতাংশ লোক একটি জিনিসের সুবিধা পেয়ে থাকে। ০.০১ শতাংশ লোক যদি এর অপব্যবহার করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তিটি বর্জন করা যাবে না।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

টপ নিউজ নির্বাচন মৌলিক সমঝোতা রাজনৈতিক দল

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর