ভারতের নির্বাচনে বিজয়ী জোটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
৫ জুন ২০২৪ ১৯:১৫ | আপডেট: ৬ জুন ২০২৪ ১২:১৫
ঢাকা: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী এনডিএ জোটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৫ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্বাচনে এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। আমরা ইনডিয়া জোটকেও অভিনন্দন জানাই, তারা ভালো ফলাফল করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেইসঙ্গে ভারতের জনগণকেও অভিনন্দন। তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছে, এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই।
ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ, হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, আশা করি আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারতের সরকার, জনগণ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভারতের সেনাবাহিনী যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রক্ত ঝরিয়েছে, এর সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয় না। আর আমাদের বিদেশ নীতি হচ্ছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। ফলে এক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক অন্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে না।
দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোতে আলোচনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে আমার ভারত সফরে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন ছিল। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
এবার বিরোধী জোট ইনডিয়া ব্লক অনেক বেশি আসন নিয়ে বিরোধীদল হতে যাচ্ছে— সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে ভারতে বিরোধীদল সবসময় একটি ভালো ভূমিকা রাখে। এমনকি ভারতে বড় ধরনের যেকোনো সংকটে সরকারি ও বিরোধীদল একসঙ্গে ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশের বিরোধীদলেরও উচিত ছিল ভূমিকা রাখার। কিন্তু সেটা তারা রাখে না।
তিস্তা চুক্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের আগের সরকারই তো আবার নতুন করে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। সুতরাং কোনো বিষয়ে নীতিগত পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। পানি ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী তিস্তা চুক্তির বিষয়ে দুই দেশে যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে।
সারাবাংলা/আইই