চাচাতো বোনকে বিয়ে করায় সৌরভ হত্যা, চাচাসহ গ্রেফতার ৩
৪ জুন ২০২৪ ১৭:৩৩ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৪ ২১:১১
ময়মনসিংহ: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভকে হত্যার অভিযোগে চাচা, চাচার শ্যালক ও প্রাইভেটকার চালকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সেইসঙ্গে লাশ বহনকারী প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে। চাচাতো বোনকে বিয়ে করায় হতাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা এ তথ্য জানান। গ্রেফতার তিন জন হলেন- সৌরভের চাচা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ইলিয়াছ আলী, তার শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক (৩০) এবং লাশ বহনকারী প্রাইভেটকার চালক আব্দুল হান্নান আকন্দ (৬৫)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আহাদুজ্জামান ফারুককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার তথ্য মতে সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ইলিয়াছ আলী ও লাশ বহনকারী প্রাইভেটকারের চালক আব্দুল হান্নান আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়। সেইসঙ্গে প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ জানায়, চাচাতো বোন ইভা আক্তারকে গোপনে বিয়ে করার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভকে হত্যা করা হয়। প্রথমে ময়মনসিংহের গোহাইলকান্দিতে চাচার বাসায় সৌরভকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে লাশ চার টুকরা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে ময়মনসিংহ সদরের মনতলা ব্রিজ এলাকায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সুতিয়া নদীতে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে ঢাকায় পরিবারের অমতে সৌরভ তার চাচাতো বোন ইভা আক্তারকে বিয়ে করেন। পরে তারা বাসায় বিয়ের কথা জানান। তবে দুই পরিবারের কেউ বিষয়টি মেনে নেয়নি। পরে অবশ্য বিয়ে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তখন দু’জন নিজ নিজ বাসায় ফিরে যায়। কিন্তু বিয়ের পরদিন ইভাকে কৌশলে ময়মনসিংহের বাসায় নিয়ে আসে তার পরিবার। এর পর ১৬ মে মেয়েকে কানাডায় পাঠিয়ে দেয়।
আর গত রোববার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সুতিয়া নদীর সেতুর নিচ থেকে সৌরভের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/পিটিএম