Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৪ ১৬:৪৩ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৪ ১৭:৩৮

ঢাকা: সরকারের টানা মেয়াদে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসারে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না।

মঙ্গলবার (জুন ৪) দুপুরে গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯, ১০০, ১০১, ১০২, ১০৩ এবং ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলোতে নিয়মিত অনুষ্ঠিত এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩০৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী কয়েকজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল সিস্টেম, কম্পিউটার শিক্ষা— এসবের আমরা প্রসার ঘটাচ্ছি। তার কারণ, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকবে না। তাদেরও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে গড়ে তুলব।’

তিনি বলেন, ‘আজকের যারা তরুণ, শিশু তারাই হবে ২০৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তোমরা এ দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেভাবেই আমরা তোমাদের গড়তে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ করার। এখন আমাদের ঘোষণা- ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছি স্কুল স্কুলে। সেইসঙ্গে কম্পিউটার ট্রেনিং এবং ইনকিউভেশন সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত দূরেই থাকি না কেন এই ছোট্ট সোনামণিরা আছো আমার অন্তরে। আমরা শিশুদের সুরক্ষায় আইন করেছি, নীতিমালা করেছি, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। প্রাক প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি জেলায় জেলায়। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাশন ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যারো স্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারে, তাদের মেধার বিকাশের সুযোগ হয়, সে সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের প্রেসিডেন্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

ছেলে-মেয়ে পিছিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর