‘এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নিলে প্রয়োজনে ছিনতাই মামলা’
৪ জুন ২০২৪ ১৫:৪২ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৪ ১৮:০৫
ঢাকা: রাজধানীতে এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। জোর করে এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ছিনতাইয়ের মামলা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার পশুর হাটকেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইজারাদারদের উদ্দেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘গরু কোন হাটে যাবে সেটা ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ট্রাকের সামনে ব্যানারে লিখে রাখবেন। প্রয়োজনে ব্যানারে হাটের ইজারাদারের মোবাইল নাম্বার লিখে রাখবেন। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেখানে গরুর হাট নয়, সেখানে যেন হাট না বসে সেটা ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশরা দেখবেন। নদীপথে নৌকা বা ট্রলারে গরু এলে সেগুলো নৌ পুলিশ দেখভাল করবে। এক্ষেত্রে ডিএমপি নৌ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ ও হাটের ইজারাদাররা সমন্বয় করে কাজ করবেন। হাট পরিচালনা কমিটি হাটে স্থানীয় পুলিশের নাম্বার প্রদর্শন করে ব্যানার টানাবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন এবং সেখানে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাস্তায় যাতে যান চলাচলে অসুবিধা না হয় এজন্য ইজারাদাররা ব্যারিকেড দিয়ে হাটের সীমানা নির্ধারণ করে দেবেন। জাল নোট শনাক্তকরণে পুলিশ সহায়তা করবে। অজ্ঞান পার্টি মলম পার্টি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। ইজারাদাররা মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করবেন।‘
সভায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটসমূহের নিরাপত্তা, মানি এস্কর্ট ও জালনোট শনাক্তকরণ, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ডিএনসিসির প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগরের সব গরুর হাটের ইজারাদার এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও