থেমেছে বৃষ্টি, সিলেট নগরীর পানিও কমেছে
৪ জুন ২০২৪ ০১:২১ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৪ ০১:৫০
ঢাকা: এক রাতের অতি তীব্র বর্ষণে ফের ডুবে গিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ফের নগরী থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়া নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য খাবারসহ বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করছে সিটি করপোরেশন।
সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই নদী সিলেট পয়েন্টেও প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
এ ছাড়া অমলশিদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও ছিল বিপৎসীমার ওপরে। তবে সোমবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সোমবার সকাল ৬টার তুলনায় সন্ধ্যা ৬টায় বেশির ভাগ নদীতেই পানি কমেছে। বৃষ্টি না থাকায় সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও পানি নেমে গেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ২১৪ মিলিমিটারের অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই তলিয়ে গিয়েছিল সিলেট নগরী। এ সময়ে নদীর পানিও ছিল বিপৎসীমার অনেকটা ওপরে। ফলে নগরীর পানি বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। উলটো নদীর পানিও যেখানেই সুযোগ পেয়েছে, প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় এখন পানি নামতে শুরু করেছে।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর সোমবার রাতে সারাবাংলাকে বলেন, রোববার রাতের বর্ষণের পর নগরীর অন্তত ২৮টি ওয়ার্ড পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। আজ দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় রাত পর্যন্ত দেড় ফুটের মতো পানি কমে গেছে। এখন হয়তো ৯/১০টি ওয়ার্ডে পানি জমে রয়েছে। বৃষ্টি না হলে হয়তো কাল এসব ওয়ার্ড থেকেও পানি নেমে যাবে। বৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে কিছু বলা যাচ্ছে না।
সিলেট নগরীর ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি জমেছিল ২২ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর ও তেরোরতন এলাকায়। এই ওয়ার্ডগুলো থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে সোমবার দুপুরের পর থেকে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা রান্না করা খাবার দিচ্ছি। এ ছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডও বলছে, সিলেট নগরীর বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি পুরোটাই নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। তবে সেখানেও সুখবর নেই সিলেটবাসীর জন্য। কেননা সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেখানেও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির আভাস রয়েছে পরের দুদিনেও। এ অবস্থায় সিলেট নগরবাসীর জন্য জলাবদ্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি সহসাই নাও মিলতে পারে।
সারাবাংলা/টিআর
টপ নিউজ সিলেট নগরী সিলেট সিটি করপোরেশন সিলেটে বন্যা সিলেটে বৃষ্টি