খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, স্বাস্থ্যের ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ
৩ জুন ২০২৪ ২০:৪৯ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৪ ০১:২১
ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগের জে এস হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিদের (১০) মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) এ বিষয়ে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জে এস হাসপাতালের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না এবং হাসপাতালটি কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের চিকিৎসকের নিবন্ধন সনদ কেন বাতিল করা হবে না এবং এ ঘটনায় শিশু আহনাফের পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৩ জুন) বিচারপতি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মেহেদী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. একরামুল হক। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মেহেদী বলেন, ‘শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকে তিন মাসের মধ্যে বোর্ড গঠন করে শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং ওই হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শিশুটির পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন আদালত।’
অন্যদিকে এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলাটি এখন তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফখরুল ও তার স্ত্রী খায়রুন নাহার তাদের বড় সন্তান আহনাফকে খতনা করাতে জে এস হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করে তার খতনা করেন। কিন্তু শিশুটির আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ওই দিন রাতে (২০ ফেব্রয়ারি) হাতিরঝিল থানার শিশুটির বাবা একটি মামলা করেন। চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। এ মামলায় হাসপাতালটির মালিক মোক্তাদির, অবেদনবিদ মাহবুব ও অস্ত্রোপচারবিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক আজাদকে আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এরপর এ ঘটনায় গত ৩০ মে শিশুটির পিতা মোহাম্মদ ফখরুল আলম ও খাইরুন নাহার হাইকোর্টে রিট করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে