মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি
২ জুন ২০২৪ ১৯:০২ | আপডেট: ২ জুন ২০২৪ ২১:২৪
ঢাকা: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান, গমনেচ্ছু কর্মীদের হয়রানিসহ ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২ জুন) এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি। যারা এ সমস্যার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘কমিটি কর্মানুমতি ও বিএমইটি’র ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার পরও মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠাতে না পারার কারণ চিহ্নিতকরণ, নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সি চিহ্নিত করবে। এ ছাড়া, মালয়েশিয়া যেতে পারেনি এমন কেউ অভিযোগ করলে তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি সম্মিলিত বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি।’
সিন্ডিকেটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে, সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সব এজেন্সি যেন লোক পাঠাতে পারে, সেটা চায় সরকার।’
মালয়েশিয়ার শ্রমমাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান, ২৪ মে’র পর থেকে যাদের টিকিট ছিল শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপরিশের আলোকে দোষীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম