আসামে বন্যায় মৃত বেড়ে ১৫, ৩ নদীর পানি বিপৎসীমা পেরিয়ে
২ জুন ২০২৪ ০৮:৩২ | আপডেট: ২ জুন ২০২৪ ১১:২৪
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল-পরবর্তী বৃষ্টিতে আসামে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আসাম রাজ্য সরকারের বুলেটিনের সর্বশেষ তথ্য বলছে, রাজ্যে নতুন করে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কারণে। এ ছাড়া তিন নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, শুক্রবার পর্যন্ত বন্যায় আসামে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন লাখ। শনিবার সেই সংখ্যা ছয় লাখ পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নগাঁও জেলা। এই এক জেলাতেই বন্যাকবলিত মানুষ আড়াই লাখের বেশি। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, এখনো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের অন্তত ১০টি জেলা।
আসামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী বরাক। বৃহস্পতিবার থেকে সেই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্রের উপনদী কোপিলি ও বরাকের শাখানদী কুশিয়ারাও বিপৎসীমা পেরিয়ে গেছে। ভেসে গেছে রাস্তাঘাট, সেতু ও ঘরবাড়ি। বিঘার পর বিঘা কৃষিজমিও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।
শনিবার আসামের কছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকাণ্ডী জেলার তিন বাসিন্দা মৃত্যুবরণ করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনরাত উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বহু জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলেও।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসামের পুলিশ ও জেলা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রাতে স্থানীয়দের চলাফেরাতেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। রাজধানী শহর গুয়াহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো জলমগ্ন।
রেমালের প্রভাবে গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয় আসামে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতে। এর প্রভাবেই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। এরই মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ুও প্রবেশ করেছে।
সারাবাংলা/টিআর