সুন্দরবনে ৯৬ হরিণ ও ৪ শূকরের মরদেহ উদ্ধার
৩০ মে ২০২৪ ২২:৪২ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ১০:৪৩
বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনে ৯৬টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ দিনে সুন্দরবন থেকে মোট ১০০টি
মৃত প্রাণীগুলোকে কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৮০টি মিঠাপানির উৎস পুকুরে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওযায় বনকর্মীদের পাশাপাশি বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো আরও জানিয়েছেন, কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর, নীলকমল ও নারিকেলবাড়িয়া থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৬টি মৃত হরিণ ও চারটি মৃত বন্য শুকরের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত হরিণ ১৮টি এবং অজগর সাপ ১টি উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের বেশকিছু স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বন বিভাগের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
বন বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বনের যে পরিমাণ ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে বনের অবস্থা ভালো রয়েছে। সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপ যখনই ডাঙ্গায় আঘাত হানতে গেছে তখনই বুক চিতিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে নিরাপদ করেছে জনপদকে। তবে এবারের ঝড় অতীতের সব রেকর্ড ব্রেক করে ফেলেছে। বিশেষ করে এমন জলোচ্ছ্বাস কখনও দেখেননি বলে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা দাবি করেছেন। গত ৫০ বছরে যেসব এলাকা কখনও পানিতে তলায়নি সেসব এলাকায় এবার জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। একইভাবে সুন্দরবনেও প্রাণহানির খবর অনেক বেশি খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সারাবাংলা/একে