উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপেও কাটেনি ভোটারদের খরা
২৯ মে ২০২৪ ১১:২২ | আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ১৪:১৭
দেবীদ্বার থেকে: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোটার খরা কাটেনি। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ১০৯নং ভৈষেরকুট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে মাঠের লাইনগুলো একদম ফাঁকা। দুয়েকজন ভোটার কক্ষগুলোতে রয়েছেন। তবে একটি কক্ষে একাধিক বুথ থাকায় ভোট গ্রহণকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ভিড় বেশি।
কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে ৩৯৩টি ভোটের মধ্যে প্রখম দেড় ঘণ্টায় মাত্র ১২টি ভোট কাস্ট হয়।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, এই কেন্দ্রে ভোটার বেশি কিন্তু কক্ষ কম। তিনটি কক্ষে মোট ১০টি কক্ষে ভোট নেয়া হচ্ছে। সে কারণে একটু ভিড় বেশি দেখাচ্ছে, তবে ভোটার উপস্থিতি তেমন না।
তিনি জানান, এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৬ ভোটের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩৭৫ ভোট কাস্ট হয়েছে।
নুরে আলম নামের স্থানীয় এক ভোটার বলেন, ‘কেন্দ্রের বাইরে কোনো মানুষের মধ্যে কোনো উৎসব নাই। প্রশাসনের লোকের সঙ্গে বসে আনারসের প্রার্থীর লোকজন বসে চা নাস্তা খাচ্ছে। ভোট কেমন হবে বোঝাই যাচ্ছে। কাইট্টা-কুইট্টা লইয়া লইবে।’
কেন্দ্রে ভোট দেখতে এসে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোলায়মান কবির জানান, মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে লোকজন সবাই কেন্দ্রে ঢুকে বসে আছে। এভাবে হলে ভোট কি করে সুষ্ঠু হয়। সেখানে ভোট কারচুপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ প্রার্থী।
মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এই কেন্দ্রে দেখা গেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কামাল হোসেন ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করছেন। তারা চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুনের পক্ষে কাজ করছেন বলে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন।
তবে এ বিষয়ে কামাল মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে সহযোগিতা করছি।’
কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ভোটারকে ভোট দিতে সহযোগিতা করা আইনত নিষেধ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’
এই কেন্দ্রের পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্রের কোনো কক্ষেই ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার পরিচয় পত্রে ছবি নেই। এ সব কর্মকর্তারা জানান তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসের চাহিদা অনুযায়ী ছবি, ভোটার আইডি কার্ড দিয়েছেন, কিন্তু কার্ডে তারা ছবি যুক্ত করেননি।
মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মহিউদ্দিন সরকার জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৭৭৫ (পুরুষ) ভোটারের মধ্যে ৪৫০টি ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কাছে কোনো অভিযোগ আসনি। এছাড়া সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট না থাকার বিষয়টি তার জানা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সারাবাংলা/জিএস/এমও