‘মানুষের কল্যাণের নামে সবকিছু মানুষই শেষ করছে’
২৬ মে ২০২৪ ১৪:০০ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০১:২৭
রাঙ্গামাটি: বন গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে। এ জন্য বনকে রক্ষা করতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমুদ্র। সমুদ্রও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে। আমরা প্রত্যেক মানুষই জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় কিছু না কিছু করতেই পারে। কিন্তু এর বদলে মানুষই মানুষের কল্যাণের নামে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।
আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রোববার (২৬ মে) সকালে বন সংরক্ষক রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জীববৈচিত্র্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ’। এই প্রতিপাদ্য দিয়ে রোববার সকালে একটি র্যালিও অনুষ্ঠিত হয়।
পরে আলোচনা সভায় ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. জাহিদুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগের ডিএফও নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অশ্রেণিভুক্ত বনাঞ্চল বনীকরণ বন বিভাগের ডিএফও সোহেল রানা।
সভার প্রধান অতিথি বন সংরক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি প্রজাতির গুরুত্ব আছে। পৃথিবীর সৌন্দর্য-আকর্ষণ বৈচিত্র্যের মধ্যেই নিহিত। পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি প্রজাতি রয়েছে। আবার এই প্রজাতিগুলোর মধ্যেও ভিন্নতা, বৈচিত্র্য রয়েছে। তেমনি পৃথিবীর ভৌগোলিক বৈচিত্র্য রয়েছে এবং সবখানেই জীব রয়েছে। এই সবকিছুই মানুষের কল্যাণে। কিন্তু সেই মানুষই সবকিছু শেষ করে ফেলছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস ও দৈনিক বণিক বার্তার রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি প্রান্ত রনি। এর আগে সকালে জেলা শহরের হ্যাপির মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উদযাপিত হয়ে এলেও বাংলাদেশে এ বছর ২৬ মে দিবসটি উদযাপন করছে বন বিভাগ।
সারাবাংলা/টিআর