Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভয় ঝড় নিয়ে না, জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভাঙলি কী হবে তা-ই নিয়ে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২৪ ২২:৫০ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১০:০০

খুলনা: ‘আমাগে এলাকায় যতবার ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, ততবারই ঝড়ে মানুষের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে ক্ষতি হয়েছে উঁচু জোয়ারের বাঁধ উপচে এলাকা তলিয়ে অথবা বাঁধ ভেঙে। আমাগের তো ভয় ঝড় নিয়ে না, ভয় হলো উঁচু জোয়ারে রাতে বাঁধের কী হয় তা-ই নিয়ে। এখন তো ভাটার কথা। কিন্তু ভাটাতে নদীর পানি মোটেও কমেনি। কী যে হবে রাতের জোয়ারে ঈশ্বর জানে।’

রোববার (২৬ মে) বিকেলে কথাগুলো বলছিলেন কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া গ্রামের স্বপন মিস্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, মোংলা ও পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ঘোষণার পর কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে, কয়রা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাতে উপকূল অতিক্রম করবে রেমাল। সেই আতঙ্কে রয়েছে কয়রাবাসী। কয়রার অধিকাংশ বেড়িবাঁধই দুর্বল।

যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কয়রার ১২১ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। বারবার বাঁধ ভাঙ্গায় উপকূলবাসী সংকেত পেলেই আতঙ্কে থাকেন।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

খুলনা ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় রেমাল ঝড় টপ নিউজ রেমাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর