Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে লাফ দিলেন আশিক

সারাবাংলা ডেস্ক
২৬ মে ২০২৪ ২১:৪৭

আশিক চৌধুরীর হাত ধরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। ছবি: ফেসবুক থেকে

লক্ষ্য ছিল পতাকা হাতে লাফিয়ে স্কাইডাইভিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া। আর সেটি করতেই ৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে লাফ দিলেন বাংলাদেশি স্কাইডাইভার আশিক চৌধুরী। প্রায় সাড়ে তিন মিনিট ধরে বাংলাদেশের পতাকা বয়ে বলা যায় শূন্যে থেকে নেমে এসেছেন মাটিতে। এতেই সর্বোচ্চ সময় পতাকা হাতে শূন্যে ভেসে বেড়িয়ে মাটিতে নেমে আসার রেকর্ড নিজের নামে পেতে যাচ্ছেন আশিক। তার অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশও। এখন কেবল গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শনিবার (২৫ মে) ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এ দিন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের উইংস ফিল্ড বিমানঘাঁটি থেকে বিমানে উড়ে ৪১ হাজার ফুট উচ্চতায় চলে যান আশিক। সেখান থেকেই লাফ দেন দেশের পতাকা নিয়ে। এর আগে কোনো বাংলাদেশি স্কাইডাইভার এত উঁচু থেকে পতাকা হাতে লাফিলে পড়ার চেষ্টা করেননি।

ডাইভিং শেষে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক ভিডিওতে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘মাত্রই ল্যান্ড করলাম। পুরো অভিজ্ঞতা ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাকর। ভয় পাওয়ার মতোও ছিল। তবে আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাকমতো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পতাকা ধরে রাখতে পেরেছিলাম, যা ছিল খুবই কঠিন। এমনকি আমিও কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ল্যান্ড করতে পারিনি, এখান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ল্যান্ড করেছি। কোনো আঘাতও পাইনি। এখন কেবল কর্তৃপক্ষের রেকর্ডের স্বীকৃতির অপেক্ষা।’

দেশের পতাকা হাতে বিজয়ীর বেশে আশিক চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক থেকে

৪১ হাজার ফুট ওপর থেকে পতাকা হাতে লাফ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ ছিল না। কারণ স্কাইডাইভাররা সাধারণত ১২ থেকে ১৩ হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দিয়ে থাকেন। ১৫ হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দিতে গেলেই প্রয়োজন হয় বাড়তি অক্সিজেন। অন্যদিকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটও পরিচালনা করে ৩৫ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতা। আর ৩৬ হাজার ফুট থেকে শুরু হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমানা। তাই ৪১ হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল বিশেষ আয়োজন।

সে আয়োজনে কমতি রাখেননি আশিক। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের উইংস ফিল্ড বিমানঘাঁটি থেকে বিমানে ওড়ার আয়োজন করেন। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি উড়ে যায় আকাশে। ঘণ্টাখানেক বিমানটি আকাশে ওড়ে। এর মধ্যেই স্কাইডাইভিংয়ের সব প্রস্তুতি সেরে নেন আশিক। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাফ দেন তিনি। প্রায় ৩৭ হাজার ফুট শূন্যে ভ্রমণের পর চার হাজার ফুট উঁচুতে থাকা অবস্থায় খুলে দেন প্যারাশুট। নিরাপদেই নেমে আসেন মাটিতে।

বিজ্ঞাপন

স্কাইডাইভিংয়ের আয়োজনটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলে আশিক দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন ও গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ডের মালিক হবেন।

সিলেট ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আশিক স্নাতক ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে। স্নাতক শেষ করতে না করতেই একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর পড়ালেখা করতে চলে যান যুক্তরাজ্যে। সেখানেই স্কাইডাইভিং শুরু করেন। পরে নিয়েছেন একাধিক প্রশিক্ষণ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক কোম্পানি দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

সারাবাংলা/টিআর

আশিক চৌধুরী গিনেজ রেকর্ড টপ নিউজ বাংলাদেশের পতাকা স্কাইডাইভিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর