রেমাল: সাতক্ষীরায় বইছে ঝোড়ো বাতাস, বাড়ছে নদ-নদীর পানি
২৬ মে ২০২৪ ১৮:২৩ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ২১:৫৮
সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় রোববার সন্ধ্যা থেকে (২৬ মে) ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, উপকূলীয় এলাকার নদনদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দু’টি বিভাগের আওতাধীন ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে, যা ষাটের দশকে নির্মিত। এর মধ্যে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০টি পয়েন্টে ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে দুটি উপজেলায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভপাতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় সব সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া, উপকূলীয় এলাকার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ চিহ্নিত করে বালি ও জিও ব্যাগ দিয়ে সংস্কারের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক। সেইসঙ্গে জরুরি ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মজুত রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম