Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পায়রা বন্দরের ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রেমাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২৪ ১৭:৫৪ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ২১:৫৯

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে ঝড়-বৃষ্টি। এর প্রভাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার আকমল আলী রোডে বেড়িবাঁধসংলগ্ন জেলেপাড়ার অনেকাংশ প্লাবিত হয়েছে রোববার। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ক্রমেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরই মধ্যে এর অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিসহ দমকা ও ঝড়ো আওয়া বইতে শুরু করেছে। সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি এখন পায়রা সমুদ্র বন্দরের ১৮০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে চলে এসেছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকেও মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সর্বশেষ ১৩ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিকেল ৫টায় দেওয়া এই বুলেটিনে বিকেল ৩টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের ওই অবস্থান জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি একই সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলার কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন-

 

বিজ্ঞাপন

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে বাড়তে বাড়তে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আগের মতোই মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকা থাকবে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপের পার্থক্য বেশি হওয়ার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকায় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/টিআর

আবহাওয়া অধিদফতর আশ্রয়কেন্দ্র ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টপ নিউজ বিপৎসংকেত রেমাল সতর্ক সংকেত

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর