পুলিশ বক্সে আগুন-ভাঙচুর: চার মামলায় আসামি ২৫০০
২১ মে ২০২৪ ১২:২৮ | আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ১৫:৫১
ঢাকা: কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ও বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ২৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে গত রোববার (১৯ মে) রাজধানীর মিরপুরে দিনভর সড়ক অবরোধের পর এই আগুন ও ভাঙচুর করেছিলেন রিকশাচালকরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা সারাবাংলাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার (২০ মে) ডিএমপির ৩ থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে পল্লবী থানায় দু’টি, কাফরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ডিসি মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি মামলা পল্লবী ট্রাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়।’
অন্যদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। রোববার দিনভর আন্দোলন অবরোধের নামে পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি অটোরিকশা চালককে। এসব মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জসীম উদ্দীন বলেন, ‘রোববার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় তাণ্ডব চালায় অটোরিকশা চালকরা। তারা নিচে রাস্তাসহ কালশী ফ্লাইওভার অবরোধ করে রাখে। একপর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে কালশীর রাস্তা অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন পরিবহনের একাধিক বাসে ভাঙচুর করেন। এছাড়া কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুনও ধরিয়ে দেন।’
পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলা দু’টির নথি থেকে দেখা যায় এসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন সেটিতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে।
অন্যদিকে একই থানায় ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।’
মিরপুর মডেল থানার ওসি মুন্সির সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম জানান, কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৬০০/৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও