মিঠাপুকুর-পীরগঞ্জে নির্বাচন কাল, ভোটার উপস্থিতিই চ্যালেঞ্জ
২০ মে ২০২৪ ১৩:২৭ | আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ১৫:৩৯
রংপুর: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল মঙ্গলবার। দেশের ১৫৭ উপজেলা পরিষদের মতো উত্তরের জেলা রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এই দু’টি উপজেলায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ হওয়ায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
রংপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ উপজেলা মিঠাপুকুর। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিতে এই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩৫। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান কামরু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা এবং সাবেক এমপি শাহ সোলায়মান আলমের ছেলে সাদমান ইশরাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একইভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ভিআইপি উপজেলা হিসেবে পরিচিত পীরগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭২ জন।
তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দু’জন আওয়ামী লীগের ও একজন জাতীয় পার্টির। তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর এবং জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম যাদু মিয়া।
তবে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। কাকে ভোট দেবেন সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। ভোটের মাঠে বিরাজ করছে উত্তেজনা। তবে প্রার্থী বলছেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাদের পক্ষে কাজ করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা ও কামরুজ্জামান কামরু নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত জানিয়ে বলেন, ‘কৃষি অঞ্চল হওয়ায় অনেক ভোটারই ব্যস্ত ধান কাটতে। তবে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে কাজ করছেন।’
এদিকে পীরগঞ্জের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ‘১০ বছর সংসদ সদস্য এবং ১০ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মানুষের সেবা করার। আশাবাদী জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে।’
আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
নির্বাচনের রির্টার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, ভোটের দিন দুই উপজেলায় থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত করার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং র্যাব ও বিজিবির টহল থাকবে। যদি কেউ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করেন তাহলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এমও