অতিরিক্ত ১দিন থাকাই কাল হলো জিহাদের, দুর্ঘটনায় গেল প্রাণ
১৯ মে ২০২৪ ২১:৩৭
কক্সবাজার: টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পর্যটকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও তিন জন। এর মধ্যে হানিমুনে আসা পর্যটক স্ত্রীকে নিয়ে অতিরিক্ত একদিন অবস্থান করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
রোববার (১৯ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ছমি উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি বারিক্কা ওরফে কিরণ চাকমা (৪০) এবং ঢাকার ডেমরা থানার ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলামের ছেলে মো. জিহাদ (২১)।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত জিহাদের স্ত্রী তাসিম আক্তার মরিয়ম (১৮)। তবে আহত অপর তিন জনের নাম ও পরিচয় জানাতে না পারলেও তারা ইজিবাইকের যাত্রী বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক ছমি উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে উপজেলার জাহাজপুরা এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে কক্সবাজারমুখী মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দু’জনসহ পাঁচ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে বারিক্কা চাকমা ওরফে কিরণ মারা যায়।’
পুলিশের এ পরিদর্শক বলেন, ‘আহত অপর চার জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদ নামে আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত জিহাদের খালাতো ভাই আবু ইউছুফ বলেন, ‘দুই মাস আগে মো. জিহাদ ও তাসিম আক্তার মরিয়মের মধ্যে বিয়ে হয়। গত ১৬ মে তারা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। শনিবার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু নবদম্পতি আরও একদিন থাকার ইচ্ছে পোষণ করায় ফেরা হয়নি। রোববার রাতেই সবাই একসাথে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি বলেন, “রোববার সকালে জিহাদ ও তার স্ত্রী ‘রেন্ট এ বাইক’ যোগে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ঘুরতে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুরে কক্সবাজার ফেরার পথে টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকায় দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে জিহাদ মারা যায় এবং তার স্ত্রী আহত হন।“
দুর্ঘটনায় জিহাদের মৃত্যুর জন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনরা নিয়ে যেতে চান বলে জানান নিহতের এ স্বজন।
পরিদর্শক মো. ছমি উদ্দিন জানান, নিহত পর্যটকের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে এবং অপরজনের লাশ নিজ বাড়িতে রয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম